কোম্পানীগঞ্জে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল!

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় শনিবার সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছেন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। শুক্রবার রাত ৯টায় ফেসবুক লাইভে এসে কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি। শুক্রবার বিকালে চাপরাশিরহাট বাজারে কাদের মির্জা ও মিজানুর রহমান বাদল অনুসারী আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের র’ক্তক্ষ’য়ী সং’ঘ’র্ষে ৫০-৬০ জন নেতাকর্মী আ’হ’ত হন।

আ’হ’তদের কাদের মির্জা নিজের অনুসারী দাবি করে এবং তাকে হ’ত্যাচে’ষ্টার অভি’যোগ তুলে এর প্র’তিবাদে এ হরতালের কর্ম’সূচি দেয়া হয়। এদিকে সং’ঘ’র্ষের ঘ’টনাস্থল থেকে আসার সময় চরকাঁকড়া টেকেরবাজার নামক স্থানে বাদল গ্রুপের সদস্য হিসেবে পরিচিত ফখরুল ইসলাম সবুজের নেতৃত্বে রাস্তায় ব্যারিকেড দিলে আবদুল কাদের মির্জা গাড়িবহরসহ অব’রুদ্ধ হয়ে পড়েন।

কয়েক ঘণ্টা পর কোম্পানীগঞ্জ থানার পুলিশ, অতিরিক্ত রিজার্ভ পুলিশ ও র্যাবের কয়েকটি গাড়ি গিয়ে সড়ক অবরোধ তুলে দিয়ে মেয়র কাদের মির্জাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। বসুরহাট পৌরসভা মিলনায়তনে নেতাকর্মী ও সাংবাদিকদের কাদের মির্জা জানান, এমপি একরাম চৌধুরীর বাড়িতে শুক্রবার দুপুরে বৈঠক শেষে সন্ত্রাসীদের দুই ভাগে বিভক্ত করে আমার নেতাকর্মীদের ওপর হা’ম’লা চালিয়েছ।

এর মধ্যে বাদলের নেতৃত্বে চাপরাশিরহাট ও সবুজের নেতৃত্বে টেকেরবাজারে হা’ম’লার ঘ’টনা ঘটে। এসব ঘ’টনায় মিজানুর রহমান বাদল, চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক, নজরুল ইসলাম শাহীন, হাসিবুস শাহীদ আলোক, ফখরুল ইসলাম সবুজ, ভাগিনা ফখরুল ইসলাম রাহাত, মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু, মাহবুবুর রহমান আরিফ অ’স্ত্র নিয়ে গু’লি করেছে।

কাদের মির্জা অভিযোগ করেন, প্রশাসনের সহযোগিতা ছাড়া এ আ’ক্রম’ণ সম্ভব নয়। এজন্য আমি এ ঘ’টনার মা’ম’লায় নোয়াখালীর ডিসি, এসপি, কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি ও পরিদর্শককে (ত’দন্ত) আসা’মি করব। এছাড়া ফেনীর নিজাম হাজারী এমপি, নোয়াখালীর একরামুল করিম চৌধুরী এমপি, ফেনী পৌরসভার মেয়র স্বপন মিয়াজী,

দাগনভুঞা উপজেলা চেয়ারম্যান দিদারুল কবির রতন, সোনাগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপন, নোয়াখালী সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সামছুদ্দিন জেহান, সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব বেলায়েত হোসেন, সেতুমন্ত্রীর এপিএস মহিতুল, পিএ আবদুল মতিন ও পিআরও নাছেরকেও এ মামলায় আসামি করা হবে।

অন্যদিকে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বা’দল এ ঘটনার জন্য মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও তার সমর্থকদের দায়ী করেছেন। তিনি তার ফেসবুক লাইভে এসে বলেন, গত দুই মাস যাবত আবদুল কাদের মির্জা বিভিন্ন মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ দলের অনেক সিনিয়র নেতাদের কটা’ক্ষ করে বক্তব্য দিয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি করে আসছেন।

এর প্রতিবাদে একটি সংবাদ সম্মেলন করার জন্য শুক্রবার বিকালে তার এলাকা চরফকিরা ইউনিয়নের সব ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতাদের নিয়ে একটি প্রস্তুতিমূলক বৈঠকের ডাক দেয়া হয়। এতে কাদের মির্জার নেতৃত্বে শত শত অ’স্ত্রধারী সেখানে হা’ম’লা চা’লায়। এতে তার বহু নেতাকর্মী আ’হ’ত হয়েছেন বলে তিনি দাবি করেন।

প্রসঙ্গত, নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চাপরাশিরহাট বাজারে শুক্রবার বিকালে কাদের মির্জা ও মিজানুর রহমান বাদল সমর্থিত আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় ধাও’য়া-পা’ল্টা ধাওয়া ও র’ক্তক্ষ’য়ী সং’ঘ’র্ষের ঘটনা ঘটে। এতে স্থানীয় এক সংবাদকর্মীসহ উভয়পক্ষের অর্ধশ’তাধিক লোক আ’হ’ত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লা’ঠিচা’র্জ, শ’টগা’নের ফাঁকা গু’লি ও টি’য়ারশে’ল নি’ক্ষেপ করেছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতা’য়েন করা হয়েছে। থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।